বাচ্চারা কত মাসে কথা বলে

বাচ্চারা কত মাসে কথা বলে, এই প্রশ্নটি নতুন বাবা-মায়েদের মনে বারবার উঁকি দেয়। আপনার ছোট্ট সোনামণিটি যখন প্রথমবার 'মা' বা 'বাবা' ডাকবে, সেই মুহূর্তটা যে কতটা আনন্দ আর গর্বের, তা কেবল বাবা-ম আপনারাই জানেন। এই অনুভূতিটা পৃথিবীর অন্য কোনো কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। কিন্তু এই মূল্যবান মুহূর্তটির জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হয়, তা নিয়ে মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। আসলে, শিশুদের ভাষার বিকাশে কোনো বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। প্রতিটি শিশু তার নিজস্ব গতিতে বেড়ে ওঠে। তবে, কিছু সাধারণ মাইলফলক আছে যা দেখে আপনি আপনার সন্তানের ভাষার বিকাশ সম্পর্কে একটি ধারণা পেতে পারেন। চলুন, আজ আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

শিশুর ভাষার বিকাশ: এক অসাধারণ যাত্রা

শিশুর ভাষার বিকাশ একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, যা জন্মের পর থেকেই শুরু হয়। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! জন্মের পর থেকেই শিশুরা তাদের চারপাশের পরিবেশ থেকে শিখতে শুরু করে। প্রথম দিকে তারা কান্নার মাধ্যমে তাদের চাহিদা প্রকাশ করে, এরপর আসে কুইং (cooing) এবং ব্যাবলিং (babbling) এর পালা। এই পর্যায়গুলোই হলো কথা বলার প্রথম ধাপ।

কুইং এবং ব্যাবলিং: কথার প্রথম সিঁড়ি

কুইং (Coohing): স্বরধ্বনির মিষ্টি সুর (০-৩ মাস)

জন্মের পর প্রথম তিন মাস শিশুরা সাধারণত কুইং করে। এটি হলো এক ধরনের স্বরধ্বনি, যেমন: "আহহ," "ওহহ," "উহহ।" তারা যখন আরামদায়ক অবস্থায় থাকে বা আপনার দিকে তাকিয়ে হাসে, তখন এই ধরনের শব্দ করে। মা-বাবার সাথে এই কুইং-এর মাধ্যমে এক ধরনের প্রাথমিক যোগাযোগ তৈরি হয়। এই সময়টাতেই তারা আপনার কণ্ঠস্বর চিনতে শুরু করে এবং আপনার কথার প্রতি মনোযোগ দেয়।

ব্যাবলিং (Babbling): ব্যঞ্জনবর্ণের খেলা (৪-১২ মাস)

চার মাস বয়স থেকে শিশুরা ব্যাবলিং শুরু করে। ব্যাবলিং হলো ব্যঞ্জনবর্ণ এবং স্বরবর্ণের সম্মিলিত শব্দ, যেমন: "দা-দা-দা," "বা-বা-বা," "মা-মা-মা।" এই সময়টায় তারা নিজেদের কণ্ঠস্বর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তারা বিভিন্ন শব্দ তৈরি করে এবং শোনার মাধ্যমে সেগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করে। এই পর্যায়ে শিশুরা নিজেদের নাম শুনলে সাড়া দেয় এবং সহজ নির্দেশ বুঝতে পারে। এই সময় থেকেই তারা কিছু পরিচিত শব্দ যেমন – "না" বা "বাই-বাই" বুঝতে শেখে।

প্রথম শব্দ এবং ভাষার বিস্ফোরণ: কথার জাদু (১২-২৪ মাস)

এক বছর বয়স থেকে শিশুরা তাদের প্রথম অর্থপূর্ণ শব্দ বলা শুরু করে। এই সময়টা বাবা-মায়ের জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। "মা," "বাবা," "পানি," "দুধ" – এই ধরনের শব্দগুলো তারা বলতে শুরু করে। প্রথম দিকে তারা হয়তো একটি শব্দ দিয়ে একটি পুরো বাক্য বোঝানোর চেষ্টা করে, যেমন: "পানি" বলে হয়তো তারা "আমি পানি খেতে চাই" বোঝাতে চায়।

এক শব্দ থেকে দুই শব্দে (১৮-২৪ মাস)

প্রায় ১৮ মাস বয়স থেকে শিশুরা দুটি শব্দ একসাথে ব্যবহার করতে শুরু করে, যেমন: "আরো দুধ," "যাবো বাবা।" এই সময়টাকে ভাষার বিস্ফোরণ বলা হয়, কারণ এই সময় তাদের শব্দভাণ্ডার দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তারা প্রতিদিন নতুন নতুন শব্দ শিখতে থাকে এবং সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করে। এই সময় শিশুরা নিজেদের পরিচিত জিনিসের নাম বলতে পারে এবং সহজ প্রশ্ন বুঝতে ও উত্তর দিতে পারে।

বাক্য গঠন এবং কথোপকথন: কথার পূর্ণতা (২৪-৩৬ মাস)

দুই বছর বয়স থেকে শিশুরা ছোট ছোট বাক্য বলতে শুরু করে, যেমন: "আমি ভাত খাবো," "কোথায় যাবো?" তারা নিজেদের নাম বলতে পারে এবং বয়সের সাথে সাথে জটিল বাক্য গঠন করতে শেখে। এই সময় তারা আপনার সাথে ছোটখাটো কথোপকথনে অংশ নিতে পারে এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। তিন বছর বয়স থেকে শিশুরা সাধারণত তিন থেকে চারটি শব্দের বাক্য ব্যবহার করে এবং তাদের কথা ৮০% পর্যন্ত বোঝা যায়।

শিশুর কথা বলতে দেরি হলে কী করবেন?

অনেক সময় দেখা যায়, কিছু শিশু অন্যদের তুলনায় দেরিতে কথা বলতে শুরু করে। এটি বাবা-মায়ের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অনেক কারণ থাকতে পারে যার জন্য শিশু দেরিতে কথা বলতে শুরু করে।

Enhanced Content Image

সম্ভাব্য কারণসমূহ

  • বংশগত কারণ: যদি পরিবারের অন্য কোনো সদস্য দেরিতে কথা বলে থাকেন, তবে আপনার শিশুর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।
  • শ্রবণশক্তি সমস্যা: যদি শিশুর শ্রবণশক্তি ভালো না হয়, তবে সে শব্দ শুনতে বা অনুকরণ করতে পারবে না, ফলে কথা বলতে দেরি হতে পারে।
  • পরিবেশগত প্রভাব: যদি শিশু পর্যাপ্ত উদ্দীপনা না পায় বা তার সাথে খুব বেশি কথা বলা না হয়, তবে তার ভাষার বিকাশ ধীর হতে পারে।
  • অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার: কিছু ক্ষেত্রে এটি অটিজমের লক্ষণ হতে পারে, যেখানে ভাষার বিকাশ ধীর হয় বা অস্বাভাবিক প্যাটার্নে হয়।
  • অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি ভাষার বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

যদি আপনার শিশু নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী ভাষার মাইলফলকগুলো অর্জন না করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিচের লক্ষণগুলো দেখলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে পারেন:

  • ১২ মাস বয়সে কোনো ব্যাবলিং না করা।
  • ১৬ মাস বয়সে কোনো অর্থপূর্ণ শব্দ না বলা।
  • ২৪ মাস বয়সে দুই শব্দের বাক্য ব্যবহার না করা।
  • কথাবার্তা বুঝতে বা নির্দেশ পালন করতে অসুবিধা হওয়া।
  • অন্যান্য সামাজিক বা আচরণগত সমস্যা দেখা যাওয়া।

আপনার চিকিৎসক শিশুর ভাষার বিকাশ মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে স্পিচ থেরাপিস্ট বা অন্য কোনো বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করতে পারেন।

শিশুর ভাষার বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা: আপনিই সেরা শিক্ষক

শিশুর ভাষার বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। আপনার ছোট্ট সোনামণিকে কথা বলতে উৎসাহিত করার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন।

Enhanced Content Image

শিশুকে কথা বলতে উৎসাহিত করার কৌশল

  • কথা বলুন, কথা বলুন, আর কথা বলুন: আপনার শিশুর সাথে নিয়মিত কথা বলুন। আপনি কী করছেন, কী ভাবছেন, সবকিছু তাকে বলুন। যখনই আপনি কাপড় ভাঁজ করছেন, রান্না করছেন বা বাইরে যাচ্ছেন, সবকিছু তার সাথে শেয়ার করুন।
  • বই পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই শিশুকে বই পড়ে শোনান। রঙিন ছবিযুক্ত বইগুলো শিশুদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। বই পড়ার সময় ছবির দিকে আঙুল দিয়ে দেখান এবং সেগুলোর নাম বলুন।
  • গান শোনান এবং ছড়া বলুন: শিশুদের জন্য মজার গান এবং ছড়া বলুন। গান এবং ছড়া শিশুদের ভাষা এবং ছন্দের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে।
  • প্রশ্ন করুন এবং উত্তর দিন: আপনার শিশু যখন কিছু ইঙ্গিত করবে, তখন তাকে প্রশ্ন করুন এবং তার হয়ে উত্তর দিন। যেমন: "তুমি কি খেলনাটা চাও? এই নাও তোমার খেলনা।"
  • অনুপ্রেরণা দিন: যখন আপনার শিশু কোনো শব্দ বা ধ্বনি তৈরি করবে, তখন তাকে উৎসাহিত করুন। হাসুন, প্রশংসা করুন এবং তাকে আবার চেষ্টা করতে বলুন।
  • ইশারা করুন: আপনার শিশুর সাথে কথা বলার সময় ইশারা ব্যবহার করুন। যেমন: "যাই" বলার সময় হাত নাড়ুন। এতে সে আপনার কথা এবং ইশারার মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে পারবে।
  • স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: টেলিভিশন বা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুর ভাষার বিকাশে বাধা দিতে পারে। শিশুদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ তাদের ভাষার বিকাশে বেশি সাহায্য করে।
  • ধৈর্য ধরুন: প্রতিটি শিশুর বিকাশের গতি আলাদা। আপনার শিশুর উপর চাপ সৃষ্টি না করে ধৈর্য ধরুন এবং তাকে তার নিজস্ব গতিতে শিখতে দিন।

আপনার ছোট্ট সোনামণির সাথে সময় কাটানো, তার সাথে কথা বলা এবং তাকে উৎসাহিত করা – এই সবকিছুই তার ভাষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনার ভালোবাসা এবং ধৈর্যই তাকে কথা বলার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য (FAQ)

প্রশ্ন ১: আমার বাচ্চা কখন প্রথম শব্দ বলবে?

উত্তর: সাধারণত, শিশুরা ১২ মাস বয়স থেকে তাদের প্রথম অর্থপূর্ণ শব্দ (যেমন: 'মা', 'বাবা', 'দুধ') বলা শুরু করে। তবে, এটি প্রতিটি শিশুর জন্য ভিন্ন হতে পারে। কিছু শিশু একটু আগে বা পরে কথা বলতে পারে।

প্রশ্ন ২: আমার বাচ্চার বয়স ১৮ মাস, কিন্তু সে এখনো কথা বলছে না। এটা কি চিন্তার বিষয়?

উত্তর: ১৮ মাস বয়সেও যদি আপনার শিশু কোনো অর্থপূর্ণ শব্দ না বলে বা আপনার নির্দেশ বুঝতে না পারে, তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। যদিও কিছু শিশু দেরিতে কথা বলতে শুরু করে, তবুও একজন বিশেষজ্ঞের মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ।

Enhanced Content Image

প্রশ্ন ৩: বাচ্চারা কি প্রথমে মা না বাবা ডাকে?

উত্তর: শিশুরা সাধারণত 'মা' বা 'বাবা' – এই দুটি শব্দের মধ্যে যেকোনো একটি প্রথমে ডাকে। এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই যে কোনটি আগে ডাকবে। তারা সাধারণত যে শব্দগুলো বেশি শোনে এবং যেগুলো উচ্চারণ করা সহজ, সেগুলোই আগে বলার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন ৪: আমার বাচ্চার ভাষার বিকাশ দ্রুত করতে আমি কী করতে পারি?

উত্তর: আপনার বাচ্চার ভাষার বিকাশ দ্রুত করতে আপনি তার সাথে নিয়মিত কথা বলতে পারেন, তাকে বই পড়ে শোনাতে পারেন, গান ও ছড়া বলতে পারেন, এবং তাকে প্রশ্ন করে উত্তর দিতে উৎসাহিত করতে পারেন। স্ক্রিন টাইম সীমিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ৫: দেরিতে কথা বলার সাথে অটিজমের কোনো সম্পর্ক আছে কি?

উত্তর: দেরিতে কথা বলা অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের একটি সম্ভাব্য লক্ষণ হতে পারে, তবে এটিই একমাত্র লক্ষণ নয়। যদি দেরিতে কথা বলার পাশাপাশি আপনার শিশুর সামাজিক যোগাযোগে সমস্যা, বারবার একই কাজ করা, বা চোখের যোগাযোগে অনীহা দেখা যায়, তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ৬: আমার বাচ্চা কিছু শব্দ বলে, কিন্তু বাক্য তৈরি করে না। এটা কি স্বাভাবিক?

উত্তর: হ্যাঁ, এটি স্বাভাবিক। শিশুরা প্রথমে একটি শব্দ দিয়ে তাদের চাহিদা প্রকাশ করে, তারপর ধীরে ধীরে দুটি শব্দ এবং তারপর ছোট ছোট বাক্য তৈরি করতে শেখে। সাধারণত, ১৮-২৪ মাস বয়স থেকে শিশুরা দুটি শব্দের বাক্য ব্যবহার করতে শুরু করে। ধৈর্য ধরুন এবং তাকে উৎসাহিত করুন।

প্রশ্ন ৭: ছেলে এবং মেয়ে শিশুদের ভাষার বিকাশে কি কোনো পার্থক্য আছে?

উত্তর: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মেয়ে শিশুরা ছেলে শিশুদের তুলনায় ভাষার বিকাশে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে, বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে, এটি একটি সাধারণ প্রবণতা এবং প্রতিটি শিশুর বিকাশ স্বতন্ত্র। এই পার্থক্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সময়ের সাথে সাথে সাধারণত তা কমে যায়।

প্রশ্ন ৮: যদি আমার বাচ্চার শ্রবণশক্তি ভালো না হয়, তবে কি সে কথা বলতে পারবে না?

উত্তর: যদি কোনো শিশুর শ্রবণশক্তি ভালো না হয়, তবে তার কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে, কারণ সে শব্দ শুনতে বা অনুকরণ করতে পারবে না। তাই, যদি আপনার শিশুর কথা বলতে দেরি হয়, তবে তার শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করানো জরুরি। শ্রবণশক্তি সমস্যা যত দ্রুত শনাক্ত করা যায়, তত দ্রুত তা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন ৯: মাল্টিলিঙ্গুয়াল পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা কি দেরিতে কথা বলে?

উত্তর: মাল্টিলিঙ্গুয়াল (বহুভাষিক) পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা হয়তো প্রথম দিকে একভাষিক শিশুদের তুলনায় কিছু শব্দ দেরিতে বলতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে তাদের শব্দভাণ্ডার অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয় এবং তারা দুটি বা তার বেশি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। এটি ভাষার বিকাশে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না, বরং এটি একটি সুবিধা।

প্রশ্ন ১০: আমার বাচ্চা যখন কিছু চায়, তখন শুধু ইশারা করে, কথা বলে না। কী করব?

উত্তর: এটি একটি সাধারণ সমস্যা। আপনার শিশু যখন ইশারা করে কিছু চাইবে, তখন তাকে সেই জিনিসটির নাম বলতে উৎসাহিত করুন। যেমন: সে যদি পানির বোতল দেখায়, আপনি বলুন "পানি?" এবং তাকে "পানি" বলতে বলুন। সে যখন শব্দটি বলার চেষ্টা করবে, তখন তাকে প্রশংসা করুন এবং তার চাহিদা পূরণ করুন। ধীরে ধীরে সে ইশারার পরিবর্তে কথা বলতে শিখবে।

আপনার ছোট্ট সোনামণির কথা বলার যাত্রাটি সত্যিই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। প্রতিটি শিশুর নিজস্ব গতি আছে, তাই ধৈর্য ধরুন এবং আপনার ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়ে তাকে এই পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন। আপনার সন্তানের প্রথম শব্দ শোনার মুহূর্তটি আপনার জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে, নিশ্চিত থাকুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top